ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গতকাল বুধবার টেলিফোনে ইসরায়েল-গাজা সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফোনালাপে গাজা উপত্যকায় অধিবাসীদের বিষয়ে ভয়াবহ পরিণতির বিষয় তুলে ধরা হয়। দুর্ভোগ ও সহিংসতা বন্ধে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা জোরালোভাবে বলার পাশাপাশি দুই নেতাই ফিলিস্তিনি জনগণের কল্যাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তেহরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও যুবরাজ মোহাম্মদ ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া শুরুর পর এই প্রথম এই ধরনের টেলিফোন আলাপের কথা প্রকাশ্যে জানা গেল।
সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ বলেছে, সৌদি যুবরাজ নিশ্চিত করেছেন যে, ‘বর্তমান উত্তেজনা নিরসন করতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সঙ্গে সব রকমের যোগাযোগ করছে সৌদি আরব’।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলেন ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে। কয়েক দশক ধরে চলমান সংকট ও উত্তেজনা প্রশমনে জরুরি ভিত্তিতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয় আলোচনায়।
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই সঙ্কটের একটি সমাধান খোঁজার জন্য সৌদি আরবের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, চলমান উত্তেজনা বন্ধে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রাখছে সৌদি আরব। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক জনগণকে টার্গেট করার বিরুদ্ধে একসুরে নিন্দা জানান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনের মূলনীতিকে সমুন্নত রাখার গুরুত্ব জোর দিয়ে তুলে ধরেন।