ইসরায়েলের নিরাপত্তা ফিলিস্তিনি ‘নিরাপত্তা’র উপর নির্ভরশীল : ডেভিড ক্যামেরন

যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ব্রিটেনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী ফিলিস্তিনি ‘নিরাপত্তা’র উপর ইসরায়েলের নিরাপত্তা নির্ভর করে। ইসরায়েল নিজেদের স্বার্থেই ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

ডেভিড ক্যামেরন তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের দ্বিতীয় দিন গতকাল এই মন্তব্য করেছেন। সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ফলে গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা খুব বেশি। আমাদের ভাবতে হবে, এই সংঘাত শেষ হওয়ার পরে গাজায় কী ঘটবে এবং কীভাবে অঞ্চলটি স্থিতিশীল হবে? কীভাবে এই অঞ্চলটি নিরাপদ হবে? 

ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীরা যেসব সহিংসতা চালাচ্ছে তা ইসরায়েলকে দমন করতে হবে। কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং মাঝে মাঝেই তাদের হত্যা করছে। এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং যারা এর জন্য দায়ী তাদের কেবল গ্রেপ্তার করাই যথেষ্ট নয়। তাদের বিচার করা এবং কারারুদ্ধ করা দরকার। কারণ এগুলো স্পষ্টত অপরাধ।

ডেভিড ক্যামেরন শুক্রবার অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পরিদর্শন করে গাজার জনগণের জন্য আরও ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এটি হোক সমস্ত জিম্মিদের মুক্তির ‘প্রথম পদক্ষেপ’ । মিঃ সুনাক চুক্তিটি সুরক্ষিত করতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে সপ্তাহব্যাপী নিবিড় কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য কাতার এবং মিশরকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে কাতারের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া চুক্তির আওতায় হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির দেওয়ার পরপরই পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া চেকপয়েন্ট এলাকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দীকে। আরও দশ থাই নাগরিক ও একজন ফিলিপিনোকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মোট ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মি ও ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী চারদিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যে মুক্তি পাওয়ার কথা।

উল্লেখ্য,  চলতি মাসের মাঝামাঝি ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সে সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁর মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রদবদল করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিকে। আর ফাঁকা হওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই ক্যামেরন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ ভয়ংকর নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা। বিশ্বজুড়ে এই পরিবর্তনের সময়ে মিত্রদের পাশে থাকা, অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা এবং আমাদের মতামতগুলো সবার কাছে পৌঁছানো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সুত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, বিবিসি,  পিএ নিউজ এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *