ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা “গাজা শহর ঘিরে ফেলার কাজ শেষ করেছে” এবং তারা হামাসের স্থাপনায় হামলা করছে, যার মধ্যে রয়েছে সুড়ঙ্গ এবং রকেট লঞ্চার। এদিকে লেবাননের হেজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ আজ শুক্রবার তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটা তার প্রথম জনসম্মুখে ভাষণ।
হেজবুল্লাহ প্রধানের বক্তব্যে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে সে বিষয়ে ইঙ্গিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের যোদ্ধারা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে তীব্র লড়াই করছে। হেজবুল্লাহ বলেছে, বিস্ফোরক ভর্তি দুটি ড্রোনের মাধ্যমে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে শেবা ফার্ম/মাউন্ট দভ এর বিতর্কিত এলাকায় থাকা ইসরায়েলি সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা।
গত সাতই অক্টোবর থেকে হাজার-হাজার বিমান হামলা ও কামানের গোলা ছুড়ে আসছে ইসরায়েল। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, গত সাতই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৯০০০ মানুষ নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকায় এই শহরটি সবচেয়ে বড় এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এটি ছিল সবচেয়ে ঘনবসতি সম্পন্ন এলাকা।
জাতিসংঘ বলেছে, ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে গাজায় থাকা তাদের চারটি স্কুল যেগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকা একটি স্কুলে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। বিচ শরণার্থী শিবির এবং আল বুরেইজ শিবিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এগুলোতে কমপক্ষে তিন জন নিহত হয়েছে।
বুধবার খোলা মিশর সীমান্তে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে সীমিত সংখ্যক নাগরিক গাজা ত্যাগ করতে পেরেছে। মিশরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২১ জন আহত ফিলিস্তিনি, ৩৪৪ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী যাদের মধ্যে ৭৩ জন শিশু রাফাহ ক্রসিং পার করেছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে “আরো বেশি ব্রিটিশ নাগরিক” গাজা ত্যাগ করে মিশরে ঢুকেছে। কিন্তু তারা কোন সংখ্যা জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ৭৪ জন আমেরিকার নাগরিক যাদের দ্বৈত জাতীয়তা রয়েছে তারা রাফাহ ক্রসিং দিয়ে পারাপার হয়েছেন। সুত্র: বিবিসি