ইসরাইল-গাজা সংঘর্ষে মার্কিন রণতরী কেন’ প্রশ্ন তুরস্কের

মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ইসরাইল-গাজা সংঘর্ষে মার্কিন রণতরী কেন’ প্রশ্ন তুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, মার্কিন রণতরী এটা কী করতে আসছে ইসরাইলে? তারা কি গাজাকে ধ্বংস করে গণহত্যা শুরু করার পরিকল্পনা করেছে!

এই অঞ্চলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোতে গণহত্যায় রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এরদোগান। গাজা অবরোধের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী এটা নিশ্চয় ইসরাইলের অজানা নয়।

এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলে ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে তুর্কি এয়ারলাইনস। কোম্পানির একজন মুখপাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান ঘোষণা করেন যে তুরস্ক চলমান সংঘাত নিরসনে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। ওইদিন এরদোগান আরো বলেন, তুরস্ক গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে- স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন ছাড়া এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।’

ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সাথে এক ফোনালাপে এরদোগান ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসরাইলকে আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি গাজার জনগণের সম্মিলিত ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন যে- এই ধরনের কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলে সহিংসতা বাড়াতে পারে।

এরদোগান হামাসের উদ্দেশেও কিছু কথা বলেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে যুদ্ধের ‘নৈতিকতা’ মেনে চলার আহ্বান জানান। এরদোগান তার বক্তব্যে সংঘাতের সময় সংযম এবং দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে ইসরাইল দেশে যুদ্ধাবস্থা ঘোষণাসহ পাল্টা হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনে। সূত্র : আলজাজিরা, দি নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *