আলেমরা ঐক্যবদ্ধ হলে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হবে : রফিকুল ইসলাম খান

ধর্ম ও দর্শন বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও উলামা বিভাগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকল মতের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আলেমরা ঐক্যবদ্ধ হলে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।’ শনিবার (২ নভেম্বর ২০২৪) দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উলামা বিভাগের উদ্যোগে উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন উলামা বিভাগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ড. মাওলানা মুফতি খলিলুর রহমান মাদানী। তিনি বলেন, ‘কেবল আলেমদের ইমামতিতেই এদেশে শির্ক-বিদয়াতমুক্ত, অপরাধ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির রাজশাহী মহানগরীর উলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন, মাজলিসুল মুফাসসিরিন রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সাবেক প্রফেসর আব্দুস সালাম আল মাদানী, উলামা মাশায়েখ রাজশাহী মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মোস্তফা আল মারুফ, মাওলানা ইয়াহিয়াসহ রাজশাহীর বিভিন্ন আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা যে যাই করি না কেনো, ভোটের দিন আমাদের বাক্স হবে একটি। সকল ইসলামী দল যদি এক হয় তাহলে এদেশে ইসলাম কায়েম হবেই। সমস্ত মতের ওপর ইসলামকে বিজয়ী করাই আলেমদের দায়িত্ব। আলেমরা নবী রাসুলদের উত্তরসূরী। নবী রাসূলরদের উত্তরসূরী হতে হলে উলামাদের একনিষ্ঠভাবে কাজ হতে হবে। নবী রাসূলদের কাজ আমাদের করতে হবে। আলেমদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের প্রচার ও প্রসারে কাজ করা। আর আমাদের দেশের প্রতিটি মসজিদ হবে দ্বীন চর্চার কেন্দ্র, ইসলাম প্রচার ও প্রসারের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। সে লক্ষ্যে আমাদের আলেম সমাজকে কাজ করতে হবে। আমরা যারা তাফসীর করি তাদের উচিত কথা ও কাজে মিল রাখা। আলেমদের উচিত দ্বীনের কাজে নিজেকে সঁপে দেয়া। জামায়াত ও কওমি মাদরাসার মধ্যে যে দেয়াল রয়েছে জামায়াত তা ভাঙতে চায়। আগামাীর দেশ হবে ইসলামের, আগামীর দেশ হবে উলামাদের।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *