আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে ওমান। প্রথমবার ওয়ানডে খেলতে নেমেই জয়ের স্বাদ পেল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। আইরিশদের দেয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য ১১ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতেই পেরিয়ে গেছে ওমান।
শক্তি-সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতায় ওমানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে দেখা মিলল ভিন্ন দৃশ্যের। হারের বৃত্ত থেকেই বের হতে পারছে না আইরিশরা। বেশ খারাপ সময় পাড় করছে তারা। বুলাওয়েতে সোমবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় উভয় দল। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড।
অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও পল স্টার্লিংয়ের উদ্বোধনী জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখছিল আইরিশরা। তবে পরপর দুই বলে দু’ওপেনার ফিরে গেলে ধাক্কা খায় তারা। দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিও। ম্যাকবির্নি ২০, স্টার্লিং ২৩ ও বালবির্নির ব্যাটে আসে ৭ রান।
৬৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টানেন হ্যারি টেক্টর। লরকান টাকারও (২৬) ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে এরপর টেক্টরকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ডকরেল। দলীয় ১৮৬ রানে টেক্টর ফিফটি তুলে (৫২) আউট হলেও শতকের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন ডকরেল। তবে তা আর হয়নি, ৯১ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন তিনি।
জর্জে ডিলানি ২০, মার্ক অ্যাডাইর ও জর্জে হোম সমান ১৫ রান করে শেষ দিকে ডকরেলকে সঙ্গ দেন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮১ রান স্কোরবোর্ডে তুলে আয়ারল্যান্ড। ওমানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওমানের শুরুটা ভালো ছিল না মোটেও, চতুর্থ ওভারে ৯ রান তুলতে ওপেনার যতীন্দর সিংকে হারায় তারা। তবে এরপর উইকেটের অপেক্ষা বাড়তে থাকে আইরিশদের। ওমান শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে দলটি প্রজাপতি ও আকিবের জুটিতে। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি।
৫০ ছোঁয়া পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আকিব। ফলে ভাঙে ৯৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। তবে এরপর জিশানকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ যুগল উপহার দেন প্রজাপতি। ৭২ রান করে প্রজাপতি বিদায় নিলে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি।তবে বিপদে পড়েনি ওমান, ফের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েন জিসান মাকসুদ ও নাদিম।
জিসান ফিফটি ছুঁয়ে আউট হন ৫৯ রান করে। ২২২ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। তবে বাকি পথটা সামলে দেন নাদিম। প্রথমে আয়ান খান ও পরে শোয়াইব খানকে নিয়ে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। ৫ উইকেটের জয় পায় ওমান। ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নাদিম। আয়ান ২১ ও শোয়াইব করেন ১৯ রান।