আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে তারা কারা, এর কোনো তালিকা এখনো পায়নি। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক হোসেন বলেন, যাদের ওপর ভিসা নীতি এসেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন না। তবে, পুলিশ আইনের মধ্য থেকেই কাজ করে। ভিসা বিধিনিষেধে দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত ঘটাবে না। এতে পুলিশের কাজের গতি কমবে না। মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সেই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এখন পুলিশের আইজি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী বা জড়িত থাকা ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অতিরিক্ত ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির অধীনে ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

আরও বলা হয়, পদক্ষেপগুলি শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য রয়েছেন। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সমর্থন অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *