‘অবিবাহিত বেশি সিলেটে খুলনা এগিয়ে বিচ্ছেদে’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য বিশ্লেষণ নিয়ে দেশ রূপান্তরের পেছনের পাতার খবর, ‘অবিবাহিত বেশি সিলেটে খুলনা এগিয়ে বিচ্ছেদে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে বিবাহিত মানুষের হার যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনি তালাক, দাম্পত্য বিচ্ছেদসহ বিধবার সংখ্যাও বেড়েছে।

বর্তমানে দেশে তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক চার শতাংশ। পুরুষের তুলনায় নারীরা তালাক ও বিচ্ছেদের পথে বেশি এগিয়েছেন। বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, খুলনা বিভাগের নারীরা ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি তালাক ও দাম্পত্য বিচ্ছিন্নের পথে এগিয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রাজশাহী বিভাগ। এ হার সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগের নারীদের মধ্যে।

বয়সভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, দেশের ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী নারী-পুরুষ সবচেয়ে বেশি তালাক বা দাম্পত্য বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন। আর সিলেট বিভাগে অবিবাহিত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (এসভিআরএস) প্রতিবেদন ২০২২-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘মিয়ানমার সীমান্তে তীব্র লড়াই, পালিয়ে এলেন ৬৮ সীমান্তরক্ষী’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রোববার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৬৮ সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিলে তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানিয়েছে, মিয়ানমারে দুই পক্ষের লড়াইয়ের সময় মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে এখানকার গ্রামগুলোতে। এতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিন বাংলাদেশি আহত হন। এ অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু ও ঘুমধুমের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি সড়কে যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার। এর বড় অংশ পড়েছে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায়। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত–সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করেছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি গোষ্ঠী। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এ সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানের কথা জানিয়েছে কক্সবাজার এবং বান্দরবানের জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর অপকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গত শনিবার আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যা নিয়ে রোববার দিনভর উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। অধিকতর তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মামলাও করেছে। সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পাঁচ দিনের মধ্যে অবৈধরা হল না ছাড়লে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিতের পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ ও অস্থায়ী দোকানপাট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে এরিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পলাতক রয়েছেন দুই আসামি। আন্দোলন শুরুর পর ছয়জনের সনদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতারা একের পর এক অপকর্ম চালালেও নির্বিকার ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রোডম্যাপ নিয়ে যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘ব্যাংকে জালিয়াতি শূন্যে নামানোই লক্ষ্য’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনের কথা জানিয়েছে।

প্রথমত, ব্যাংক খাতে জাল-জালিয়াতি বা প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ একেবারে বন্ধ বা শূন্যে নামাতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে সংস্থাটি খেলাপি ঋণ কমিয়ে আট শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চায়। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনা, ঋণখেলাপি হলে নতুন ঋণ পাওয়া বন্ধ করা, বেনামি ঋণ ও সীমার অতিরিক্ত ঋণ দেওয়া বন্ধ করার মাধ্যমে ব্যাংক খাতের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চায়।

একই সঙ্গে শতভাগ প্রভিশন রেখে খেলাপি ঋণ অবলোপন, অবলোপন করা ঋণ আদায় জোরদার করা, খেলাপিদের আর ছাড় না দেওয়া, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনা, ঋণখেলাপি হলে নতুন ঋণ না দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে রোডম্যাপে।
এসব লক্ষ্য অর্জনে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ রোডম্যাপটি অনুমোদন করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘সবলের সঙ্গে একীভূত হবে দুর্বল ব্যাংক’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো ও ভেঙে পড়া সুশাসন ফেরাতে ১৭টি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেয়ার মতো পরিকল্পনাও রয়েছে।

দেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ)’ নামে একটি ফ্রেমওয়ার্ক দেয়া হয়। কোনো ব্যাংক পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে ব্যর্থ হলে সেগুলো অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেয়া হতে পারে।

ব্যাংকগুলো চাইলে নিজেরাও একীভূত হওয়ার প্রস্তাব দিতে পারবে। একীভূত হওয়ার পরবর্তী তিন বছর কোনো কর্মচারী চাকরিচ্যুত হবে না। এ বিষয়ে ঘোষিত রোডম্যাপে বলা হয়েছে, একাধিক ব্যাংক একীভূত হলে পরিচালনা পর্ষদ শক্তিশালী হবে। ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দূর হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যয় কমে আসবে।

দেশের কয়েকটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একে অন্যের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে দেশে শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ধারার ব্যাংকের সংখ্যা ১০। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে এ সংখ্যা পাঁচ/ছয়টিতে নেমে আসতে পারে।

জো বাইডেনের চিঠি প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, ‘একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় বাইডেনের’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র গত ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেনি।

এরপরও তারা দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার এবং নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস গতকাল রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিঠি পৌঁছে দিয়েছে।

বাইডেন তাঁর চিঠিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যকে সমর্থন করতে এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের যৌথ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বাইডেন লিখেছেন, ‘দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারির পরবর্তী অধ্যায় শুরুর এ সময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানিসহ বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমার প্রশাসনের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর চিঠিতে লেখেন, ‘স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরো অনেক ক্ষেত্রে কাজ করার আমাদের একটি দীর্ঘ এবং সফল ইতিহাস রয়েছে। আমাদের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন দুই দেশের এই সম্পর্কের ভিত্তি।’

উল্লেখ্য, এর আগে ভারত, চীন, রাশিয়াসহ ইউরোপ এবং এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের মামলা নিয়ে নিউ এইজের পেছনের পাতার খবর, ‘DIFE seeks HC order to impose foreign travel ban on Prof Yunus’ অর্থাৎ ‘অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য হাইকোর্টের আদেশ চেয়েছে ডিআইএফই’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় অধ্যাপক ইউনূস দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর- ডিআইএফই। মি. ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় স্থগিতের আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করেছে।

সোমবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চে ডিআইএফই-এর আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবেদনে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ চারজনকে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চাওয়া হয়েছে।

গত পহেলা জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় তাদেরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। বিভিন্ন মহল এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে। ইউনূস এবং অন্য তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং পরে তারা এক মাসের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাৎক্ষণিক জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল ৩রা মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন এবং পরবর্তী শুনানির তারিখে মামলার নথি জমা দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির দেয়ার অভিযোগ নিয়ে মানবজমিনের পেছনের পাতার খবর, ‘রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ই এপ্রিল বিকাল চারটা ৫৯ মিনিট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া পাবলিক রিলেশন সেন্টারের ই-মেইলে একটি ই-মেইল আইডি থেকে বার্তা আসে।

ই-মেইলটির সাবজেক্ট লাইনে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা উইল বি শুট অ্যাট ফোর পিএম অন টুয়েন্টি সেভেন্থ এপ্রিল। বাংলাদেশ পুলিশ ডু নট হ্যাভ দ্য পাওয়ার টু প্রটেক্ট দিজ অ্যাটাক।’ যার অর্থ-‘২৭শে এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোর চারটায় গুলি করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষমতা নেই এই হামলা ঠেকানোর’।

তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ডিএমপি ও পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানানো হয়। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ শেষে আইপি অ্যাক্টিভিটি পর্যালোচনা করে জানা যায়- ই-মেইল প্রেরণকারী দীন ইসলাম বাদল। তার অবস্থান ছিল সৌদি আরবে।

ওইদিনই অভিযুক্ত বাদল ও তার সহযোগীদের সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনসিবি-ইন্টারপোলের মাধ্যমে ডিপ্লোমেটিক সহযোগিতা নেয়া হয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তদন্ত শেষে অবশেষে গত ২৯শে জানুয়ারি অভিযুক্ত দীন ইসলাম ও তার সহযোগী কবির হোসেনকে আটক করে বাংলাদেশে প্রেরণ করে সৌদি সরকার। ওইদিন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে দীন ইসলাম ও সৌদি যুবদলের সভাপতি কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিয়ে ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘Tangail Sari: Collective apathy to blame for GI fiasco’ অর্থাৎ ‘টাঙ্গাইল শাড়ি: জিআই ব্যর্থতার জন্য সামষ্টিক উদাসীনতা দায়ী’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টাঙ্গাইল শাড়িকে ভারতের নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

কেন বাংলাদেশ সঠিক দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জিআই স্বীকৃতি পেতে ব্যর্থ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই অধিকার সুরক্ষিত করার খবরটি শেয়ার করে। একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয় যে এই শাড়ি পশ্চিমবঙ্গে উদ্ভূত হয়েছিল।

এই অবস্থায় বাংলাদেশি অংশীদাররা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে, তারা এর আগে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়নি। তবে দুই সরকারের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে সমঝোতায় আসার সুযোগ রয়েছে, তবে এক বছরের মধ্যে বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার কাছে সরাসরি আবেদন করার সুযোগও রয়েছে।

বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে, পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) যে কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতি প্রদানের একমাত্র কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বাংলাদেশে জামদানি শাড়ি, ইলিশ মাছ এবং মসলিন কাপড় সহ জিআই মর্যাদা সম্পন্ন ২১টি পণ্য রয়েছে।

পাঠ্যবই পর্যালোচনা নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘বাতিল হচ্ছে না বিতর্কিত শরীফার গল্প’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে লেখা শরীফার গল্পকে ঘিরে ইতোমধ্যে দেশে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুসলিম গবেষকদের মধ্যে এই গল্পটির নেতিবাচক দিক নিয়ে সমালাচনা অব্যাহত রয়েছে।

তুমুল সমালোচনার মধ্যে ‘শরীফার গল্প’ গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এনসিটিবিকে সহায়তা করার জন্য পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনসিটিবির সর্বশেষ অবস্থান হচ্ছে- বিতর্ক থাকলেও সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্প বাতিল হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনে শব্দগত কিছু সংশোধন হতে পারে।

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের রচনা ও সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা আবুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কথা যেন থাকে সে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে পাঠ্যবইয়ে। কারণ আমরা চাই কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি যেন শিশুদের মনের মধ্যে কোনো ধরনের হেয়বোধ বা তুচ্ছ ধারণা না থাকে। এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, শরীফার গল্প বাতিল বা আমূল পরিবর্তনের কোনো সুযোগ বা কারণ আছে বলে আমরা মনে করছি না। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *