তুমি সেই তারকাপুঞ্জের শপথ করে বলেছো,
জলের ওপর প্রজ্বলিত আগুন হবে সেদিন
তুমি আরো বলেছিলে, সূর্য গুটিয়ে নেবার কথা
এটা কি কোনো সমাপ্তি? নাকি পটপরিবর্তনের
নতুন কোনো অধ্যায়? আমরা বিস্ময়ে সব দেখি,
আরো দেখবো যেদিন সদ্যজাত শিশুটির মৃত্যু
এবং কারণ জিজ্ঞাসা নিয়ে কোনো উৎকণ্ঠা নেই
কেমন ভাবনাহীন—তখন ধ্বংসের মুখোমুখী
হবো, এমন আভাস গ্রন্থিত করে রেখে দিয়েছো।
অথচ তোমার সাথে ভালোবাসার বন্ধন ছাড়া
আর কোনো পরিচয় অথবা কোনো চিহ্ন রাখিনি
সগৌরবে উপস্থিতি—সকল সৌন্দর্যের প্রকাশ—
দেখে দেখে এতো মুগ্ধ যে, অনন্ত প্রবাহের স্রোত
হৃৎপিণ্ডে মিশে আছে। এরপর কীকরে দণ্ডিত
করে, নিষ্ঠুরতা দিয়ে, পরিচয় প্রকাশ করবে?
পাহাড় শৃঙ্গগুলোর অহংবোধ ভেঙে যাবে, তারা
যেভাবে ভূপৃষ্ঠ গেঁথে ধরেছিলো, অনন্তকালের
যাত্রাপথ থেমে যাবে, রূপ পাবে ধুলোর আবীর।
স্তনবৃন্ত কি তখন শুকিয়ে যাবে কর্পোরেটের
চাপে? এমন আভাস নিয়ে আমরা ভীত সন্ত্রস্ত।
জননী ও সন্তানের সহজাত সম্পর্ক এখন
দ্বিধান্বিত হয়ে আছে। ফসলী ক্ষেত পাখাল যায়
এসব এখন নিত্য, তবে কি ক্রমশ সন্দিক্ষণে—
এগিয়ে আসছে দিন? হালখাতা খুলে দিবে তুমি?
জানি একদিন সব স্পষ্ট হবে চোখের সামনে
চোখ-মুখ সাক্ষী দেবে প্রকাশ্যে বিরুদ্ধে যাবে সব
কী অসহায় মানুষ জীবন-সিরিজ দেখে দেখে
নিজের লজ্জার ভারে অন্ধকারে ডুব দেবে একা।
সেদিনও ভরসার মধ্যমনি ওঠে আসবেন
রাহমাতুল্লিল আলামীন, সত্যের প্রতীক এক
আমরাও প্রতিক্ষায় রবো দরুদ-সালাম নিয়ে
আমরাও দেখে নেবো হৃদয়ের অধিক দয়াবান।