অনাস্থা ভোটের চাপে রয়েছেন বরিস জনসন

যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

লকডাউনের মধ্যে নিজের সরকারি বাসভবনে মদ্যপানের আসর জমিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁর এই কেলেঙ্কারি ‘পার্টিগেট’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। বরিস জনসন নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সেটি হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। আগামী বুধবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হতে পারে।

সানডে টাইমস জানায়, ক্ষমতাসীন দলের অনেক এমপিই বলেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী বরিসের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে অনাস্থা ভোটের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। আজ সোমবার যখন পার্লামেন্ট বসছে তখন সব দৃষ্টি থাকবে স্যার গ্রাহাম ব্রাডির দিকে। তিনি ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান। ব্রিটেনে কনজারভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি নামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি পরিচিত।

এটি হলো ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্সে কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপ। এই গ্রুপের শতকরা ১৫ ভাগ অর্থাৎ যদি ৫৪ জন এমপি চেয়ারম্যানের বরাবরে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আস্থাভোট আহ্বান করে চিঠি লেখেন বা ইমেইল পাঠান, তাহলে আস্থা ভোট হয়। এখন পর্যন্ত এমন চিঠি বা ইমেইল কতজন এমপি লিখেছেন তা শুধু স্যার গ্রাহামই জানেন। এ নিয়ে কোনো পূর্বাভাসই করা যায় না। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা নিশ্চিতভাবে কেউ জানেন না।

২৫ জনের বেশি এমপি প্রকাশ্যে বরিস জনসনের বিরোধিতা করে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ তাদের আশঙ্কা হুইপ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন। জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপ বিবিসিকে বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। তার মতে, যে কোনো ভোটেই জনসন বিজয়ী হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *