সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে বিদেশী এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু-সহ অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ বিমান বন্দর না করলে বিমান বয়কটের ডাক দেওয়া হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও অন্যান্য এয়ার লাইন্স অবতরণের দাবীতে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) ইস্ট লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডের কমিউনিটি সেন্টারে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্ট পত্রিকার অনারারী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুর রবের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট গণদাবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শফিকুর রহমান।
প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মোস্তফা, দৈনিক সময় ও মানব টিভি সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক খান জামাল নূরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি জামান সিদ্দিকী, লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলর ছয়ফুল আলম, বার্কিং এন্ড ডেগেনহাম কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলর ফারুক চৌধুরী, গোল্ডেন ড্রিমসের সভাপতি মিসেস কামরুন্নেছা খানম শোভা মতিন, ব্রিকলেন ট্রাস্টের সভাপতি শাহ মুনিম, জাতীঁয় পার্টির নেতা মোঃ আজম আলী, পলাশ সেবা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক আহমদ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ফ্রান্সের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হাবিব, রেনেসাঁ সাহিত্য মজলিস ইউকের সাধারন সম্পাদক কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার সাঈদুজজামান সুমন, দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার অন্যতম পরিচালক শাহ শেরওয়ান কামালী, সুনামগঞ্জ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নেতা হাজী ফারুক মিয়া, দক্ষিণ সুনামগন্জ উন্নয়ন সংস্থার সাবেক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক আজিজুল আম্বিয়া, কমিউনিটি সংগঠক ইউসুফ জাকারিয়া খান, সাংবাদিক আমিনুর রশীদ, গহরপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল মিয়া, আব্দুস শহিদ, জমির হোসেন, কমর আলী, এডভোকেট আরিফ আহমদ, শরিফ উদ্দিন, হরোফ খান, মোঃ জিতু মিয়া, সৈয়দ মামুন আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০২০ সালে ওসমানী বিমান বন্দরে শুরু করা নতুন টারমিনাল ভবনের কাজ আজ পর্যন্ত শেষ হয়নি। বিগত সরকার সিলেট বাসীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন করেছে। গত ২২বছরেও সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর করা হয়নি। বিমান ছাড়া অন্যান্য এয়ার লাইন্স অবতরণের কোন সুযোগ দেওয়া হচ্ছেনা। সিলেট অঞ্চলের প্রবাসী যাত্রীদের জিম্মী করে বিমান অত্যধিক ভাড়া নিচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রবাসীরা বাংলাদেশে যেতে পারছেন না। বক্তারা অনতিবিলম্বে ওসমানী বিমান বন্দরে কাতার, তুরস্ক, সাউদিয়া , বৃটিশ এয়ার ওয়েজ-সহ অন্যান্য এয়ারলাইনের ফ্লাইট চালুর দাবী জানান ।সিলেটবাসীর এ ন্যায়সঙ্গত দাবী না মানলে বিমান ও সোনালী ব্যাংক বয়কট-সহ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হতে পারে ।
সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমীপে সরাসরি ডেলিগেশন প্রেরণ ও দেশে বিদেশে আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি ক্যাম্পেইন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির কর্মকর্তারা হচ্ছেন আহবায়ক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোঃ মফিজুর রহমান, কাউন্সিলার ফারুক আহমাদ চৌধুরী, জামান সিদ্দিকী ও মোঃ আজম আলী। সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রব, যুগ্ম সদস্য সচিব খন্দকার সাঈদুজজামান সুমন, অর্থ সচিব সলিসিটর মোহাম্মাদ ইয়াওর উদ্দিন, যুগ্ম অর্থ সচিব শাহ শেরওয়ান কামালী, প্রচার ও তথ্য সচিব সাঈদ চৌধুরী। সদস্য: বীর মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, শেখ ফারুক আহমদ, ড. আজিজুল আম্বিয়া, ড. এম এ আজিজ, খান জামাল নূরুল ইসলাম, ছয়ফুল আলম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, হরোফ খাঁন জমির হোসেন, আব্দুস শহিদ, কমর আলী, শরিফ উদ্দিন, ইউসুফ জাকারিয়া খান, হাজী ফারুক মিয়া, হাজী মোঃ হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আমিনুর রশিদ, মোঃ জিতু মিয়া, সৈয়দ মামুন আহমদ, মো: আবুল মিয়া, কামরুন্নেসা খানম শুভা মতিন, এডভোকেট আরিফ আহমদ, মোহাম্মদ নুরুল হক। বিভিন্ন শহর থেকে আরো প্রতিনিধি নেওয়া হবে বলে সভায় সভায় ঘোষণা প্রদান করা হয়।