সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলদেরকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ২০২৪) দুপুরের পর নগর ভবন ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন তারা।
বুধবার বিকালে সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়করা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও সিলেটের প্রধান সমন্বয়ক শাবি শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব, সিলেটের অন্যতম সমন্বয়ক শাবি শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন শিশির, সিলেটের সহ-সমন্বয়ক শাবি শিক্ষার্থী ফয়ছল হোসেন, শাবি সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা। এখন প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত করার আন্দোলন চালছে। তাই স্বৈরাচারের অধীনে যত প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং এসব নির্বাচনে যারা বিজয়ীরূপে বিভিন্ন চেয়ারে বসেছে তাদের আর সে চেয়ারে দেখতে চাই না। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে আমরা নগর ভবন ঘেরাও করে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।
শিক্ষার্থীরা আরো বলছেন, নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টকে বিজয় চত্বর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা সক্রিয় আছি। ৫ আগস্ট থেকে ছাত্র-জনতা, মাদ্রাসার ছাত্র, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষের বাসাবাড়ি এবং মন্দির ইত্যাদি পাহারা দিচ্ছেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংগঠনের নেতারাও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গে রয়েছেন।
