দৈনিক ইত্তেফাক গণমানুষের পক্ষে, সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় এবং শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এক দৃঢ় স্বাতন্ত্র্যবোধ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, যা এখনো চলমান। একই সাথে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রবাদতুল্য ব্যক্তিত্ব ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার আপোসহীন ও জনমুখী প্রয়াস সর্বজন স্বীকৃত। ভাষা আন্দোলন, ৬-দফা, গণঅভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি সংগ্রামে এটি ছিল জনমতের বাতিঘর।

দৈনিক ইত্তেফাকের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত বিষয় বিশ্লেষণ করে বলেন, ইত্তেফাক যে স্বাতন্ত্র্য বোধ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, আজো সে ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকালে সিলেট প্রেসক্লাবের ‘আমিনূর রশীদ চৌধূরী মিলায়তনে’ ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পরিণত হয়েছিল সাংবাদিকদের মিলন মেলায়। কবি, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-সহ গণ্যমান্য সুধীজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে বেশ আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত।
ইত্তেফাকের সিলেট ব্যুরো চিফ হুমায়ূন রশিদ চৌধুরীর সভাতিত্বে ও আহসান হাবিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসার ড.আলিমুল ইসলাম। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী ও আবদুল হাকিম চৌধুরী, জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মাওলানা আনোয়ার হোসেন খান।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন খ্যাতিমান রোটারিয়ান কর্নেল (অব.) আতাউর রহমান পীর, দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদ আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা কবি সালেহ আমহদ খসরু, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরও সালাউদ্দিন খসরু, জাতীয় পার্টি (জেপি) সিলেট জেলা সভাপতি ইফতেখার আহমদ লিমন, সাংবাদিক আবদুর রজ্জাক, কামকামুর রাজ্জাক রুনু, আমজাদ হোসেইন, এম এ মতিন, আবদুল কাদির তাপাদার, কবির আহমদ সোহেল, সেলিম আউয়াল, আবদুল হান্নান, কামাল উদ্দিন, ফারুক আহমদ, সিন্টু রঞ্জন দাস, মুহিবুর রহমান, ইউনুস চৌধুরী, কবির আহমদ, শেখ আশরাফুল আলম নাসির, আবদুল মজিদ, দেলওয়ার হোসেন জিলন, মারুফ হাসান, শফিক আহমদ শফি, আমিরুল ইসলাম চৌধূরী এহিয়া, এম ফারুক আহমদ, শাহ মোহাম্মদ কয়েস প্রমুখ।

ইত্তেফাক প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন মো. বুরহান উদ্দিন, আবদুল হাই, আলম সাব্বির, আলী হোসেন, নাজমুল ইসলাম, জামিউল ইসলাম, শাহীন আলম, মামুন মুন্সি, আশরাফুল ইসলাম এমরান, নাজাত পুরকায়াস্থ, ফটো সাংবাদিক জাবেদ আহমদ প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্টানে বক্তারা বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তীতেও মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দৈনিক ইত্তেফাক। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতে ইত্তেফাক সৃষ্টি করেছে অনন্য ইতিহাস।
বক্তারা আরো বলেন, ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মানিক মিয়ার দেশপ্রেম সর্বজ স্বীকৃত। সত্যনিষ্ঠা, সাহসিকতা, জনকল্যাণ, ও বস্তুনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে তাঁর সাংবাদিকতা ও আদর্শ পথিকৃত হয়ে থাকবে। তাই ইত্তেফাকের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। মানুষ চায় ইত্তেফাক দেশেকে আগের মতোই পথ দেখাবে। দৈনিকটি সগৌরবে তেয়াত্তর বছর পদার্পন করেছে। যে স্বাতন্ত্র্য বোধ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, আগামীতে এই ধারা অক্ষুন্ন থাকবে বলেই আশা করা যায়।

