সামরিক বাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তার মধ্যে ১জন লাপাত্তা এবং ১৫ জন সেনা হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে সেনা সদর। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ কর্মস্থলে নেই বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ বিষয়ে কথা বলেন। পরোয়ানা এখনো তাদের হাতে না পেীছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে তারা অভিযুক্তদের সেনা হেফাজতে নিয়েছেন। সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জারি হওয়া ওয়ারেন্টের কারণে হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনটি মামলায় ২৫ জন সেনাসদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরে একজন আর সেনাবাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনা সদরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন এসেছেন। তাঁরা পরিবার থেকেও আলাদা থাকছেন বলে জানান হাকিমুজ্জামান।
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ সর্বশেষ সিলেটে সেনাবাহিনীর স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসে (এসআইএন্ডটি) কমান্ড্যান্ট পদে ছিলেন। তিনি ডিজিএফআইয়ে সাবেক পরিচালক। তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। এর পর থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলা হয়েছে যেন তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন হাকিমুজ্জামান তাও জানালেন।