জানুয়ারি থেকে দূর হচ্ছে লন্ডন-সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের ভাড়া বৈষম্য

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক সিলেট
শেয়ার করুন

সাঈদ চৌধুরী

লন্ডন-সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের ভাড়া বৈষম্য দূরীকরণের দাবি ছিল প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে গ্রেট বৃটেনে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হয়েছে। অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা যৌক্তিক সমাধানে এসেছে বলে জানা গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রবাসী ও সিলেটবাসীর যৌক্তিক দাবি গ্রহন করে জানুয়ারি থেকে লন্ডন রুটে সিলেট ও ঢাকার যাত্রীদের সমান ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্রবাসীদের বহুকালের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বেসরকারি এয়ারলাইন ‘ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড’ সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট চালু করে। তারপর বাধ্য হয়ে ২০১১ সালে লন্ডন-সিলেট-লন্ডন রুটে বিমান বাংলাদেশের সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়। যদিও কিছুদিন পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই বলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর দীর্ঘ প্রায় নয় বছরের প্রতিক্ষার পর ২০২০ সালে আবারো তা চালু হয়।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিমান লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকা গেলেও সিলেটের যাত্রীদের অনেক বেশী ভাড়া দিতে হয়। আসার সময়ও একই অবস্থা। এমন বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রবাসীরা বার বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালেও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে লন্ডন থেকে বিমান বৈকট-সহ আরো কঠোর কর্মসূচি নেয়া হচ্ছে। এ পর্যায়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে মতবিনিময় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের কাছেও এই দাবি জানানো হয়েছে।

প্রবাসীদের দাবি, লন্ডন-সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের ভাড়া বৈষম্য দূর করা এবং ওসমানী বিমানবন্দরকে পরিপূর্ণ আন্তর্জাতিক সুবিধায় সমৃদ্ধ করা। সেই সাথে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-সহ বিদেশী বিমান ওঠানামার সুযোগ প্রদান।

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত বিপ্লবের পর প্রবাসীরা আশা করেন, আর যেন কোন ক্ষেত্রেই বৈষম্য করা না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক এবং সাহসী ভূমিকা কাম্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *