সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি)’র অন্যতম উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বি আই আই টি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল, ইসলামিক ইকোনমিক রিসার্চ ব্যুরো (আইইআরবি)-সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে ধীমান ও বরেণ্য ব্যক্তি মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম সোমবার (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) মধ্যরাতে ঢাকার উত্তরায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রা-জেউ’ন।
ভিডিও: লেখক ও সংগঠক এম জহুরুল ইসলামের সাথে মানব টিভি সম্পাদক সাঈদ চৌধুরীর আলাপচারিতা https://www.facebook.com/reel/812721744846939
এই বরেণ্য ব্যক্তিত্বের ইন্তেকালে সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি)-র সভাপতি এডভোকেট একেএম বদরুদ্দোজা ও নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক এক যৌথ বিবৃতিতে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দুঃখভারাক্রান্ত পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, সহযোগী, কলিগ এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
সিএনসি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মরহুম জহুরুল ইসলাম ছিলেন আমাদের দেশের একজন মূল্যবান সম্পদ। যে মুহূর্তে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবার শপথ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল, ঠিক সে মুহূর্তে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। দেশ ও জাতির জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলেও আল্লাহর ইচ্ছাকে তো আমাদের গ্রহণ করতেই হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আল্লাহর অভিপ্রায়ের মধ্যে নিশ্চয়ই কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে। মরহুম জহুরুল ইসলাম শুধু দেশ-বিদেশসহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ব্যক্তি ছিলেন না, মানুষ কীভাবে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি পাবে সেই বিরাট ও বিশাল ক্যানভাস নিয়েও জীবনভর কাজ করেছেন। দেশ-বিদেশসহ আন্তর্জাতিক মাত্রার বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেছেন। মানবতার কল্যাণে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন। আন্তর্জাতিক মানের বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন। দেশের চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেই তিনি সুবিদিত ছিলেন।
সিএনসি’র বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬০ বছরে দেশের জন্য অবারিতভাবে যেসব মেধাবী, গবেষক ও গুণীজন বিশ্ববাসীর জন্য মৌলিক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমরা তাঁর জন্য অবশ্যই গর্ব করতে পারি।
দুঃখের বিষয় এই প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, সৎ, সাধনা লিপ্ত ত্যাগী ও বিনয়ী মানুষটি সারাটা জীবন অন্তরালবর্তী ছিলেন বলে দেশের মানুষ তাঁকে যথাযথভাবে জানতেন না। যাঁরা জানতেন, তাঁদের উপলব্ধি ছিলো তাঁর মনন ও মনীষা সময়কে অতিক্রম করেছিলো। ধীমান এই মনীষী তাঁর জীবন ও কর্মকে শৃঙ্খলার সাথে সংরক্ষণ ও সঞ্চালন করার জন্য পদচিহ্ন বা দাগ রেখে যাওয়ার প্রয়াসী ছিলেন না। সুতরাং মানবতার কল্যাণে সে কাজটি এখন আমাদের করতে হবে। বিশেষ করে তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বিবৃতিদাতাগণ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার কাছে তাঁর সার্বিক মুক্তিসহ আন্তরিকভাবে জান্নাতুল ফেরদাউস কামনা করছেন।

