ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র প্রধান জোসেপ বোরেল গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই বর্বর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এক্স বার্তায় লিখেছেন, বেসামরিক লোকদের সর্বদা সুরক্ষিত রাখতে হবে। জাতিসংঘ প্রাঙ্গণের অপব্যবহার করা যাবে না বা হামলার লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না। ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থী (ইউএনআরডব্লিউএ) স্কুলে হামলার কারণে আতঙ্কিত হয়েছিলেন বলেও জোসেপ বোরেল এক্স-এ উল্লেখ করেছেন। সোমবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
সপ্তাহের শুরুতে গত শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে তারা নুসিরাতের আল-জাউন স্কুলের ভিতরে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে ওই হামলায় ১৬ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
গত নয় মাসের গাজা সংঘাতের মধ্যে আশ্রয়ের অভাবে বহু ফিলিস্তিনি ওই বেসামরিক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গাজার বেশ কয়েকটা স্কুলে হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকজন হত্যা করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় উদ্ধারকর্মী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওসব স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল গাজার হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত ৯ মাসে ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। ইসরায়েলি যুদ্ধের নয় মাসে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের পঙ্গু অবরোধের মধ্যে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে।
আনাদুলো বলছে, গাজায় গত নয় ধরে বেসামরিক স্থাপনা এবং লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল। এরমধ্যে রয়েছে স্কুল, হাসপাতাল এবং মসজিদ। যুদ্ধাপরাধ বিশ্লেষকদের মতে যুদ্ধের সময় এসব স্থাপনায় হামলা চালানো মারাত্মক অপরাধ যা যুদ্ধাপরাধের শামিলও হতে পারে।