মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য একসাথে ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে “এক ডজনেরও বেশি” বিমান হামলা করেছে। শনিবার মার্কিন কর্মকর্তারা সিবিএস নিউজকে তা নিশ্চিত করেছেন। লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক শিপিং সমূহে আক্রমণ বন্ধ করার জন্য হুথিদের চাপ দিতে ১১ জানুয়ারি থেকে এটি যৌথ জোটের চতুর্থ দফা হামলা।
শনিবারের কর্মকাণ্ডে জড়িত দেশগুলির জোটের যৌথ বিবৃতি অনুসারে ইয়েমেনের আটটি স্থানে ১৮টি হামলা চালানো হয়েছে। এই জোটের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউজিল্যান্ডের সামরিক বাহিনী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুথিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র স্টোরেজ সুবিধা, ক্ষেপণাস্ত্র স্টোরেজ সুবিধা, একমুখী হামলায় মানবহীন বিমান ব্যবস্থা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার এবং হেলিকপ্টারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছে।
ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের মতে, গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুথি অস্ত্রের বিরুদ্ধে ৩০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে, যেগুলি বাণিজ্যিক বা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলিতে আক্রমণ চালানোর জন্য “প্রস্তুত ছিল”। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন শনিবার একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ রক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না। আমরা হুথিদের কাছে স্পষ্ট করে বলব যে তারা যদি তাদের অবৈধ আক্রমণ বন্ধ না করে, যা মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতির ক্ষতি করে, পরিবেশের ক্ষতি করে এবং ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশে মানবিক সহায়তা সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে তারা পরিণতি ভোগ করবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কর্তৃক হামলা সত্ত্বেও হুথিরা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরের জাহাজগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন যে ১৯ নভেম্বর থেকে এই সপ্তাহ পর্যন্ত হুথিরা কমপক্ষে ৬০টি হামলা করেছে। মূলত ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে তারা।
হুথিরা হামলা শুরু করার পর বড় কোম্পানি গুলোর অনেকেই ওই রুট থেকে তাদের পণ্যবাহী জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। ফলে সারা বিশ্বেই পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে৷। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন যে, তার দেশ বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুটে জীবন ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।