নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখল হয়েছে। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
ড. ইউনূস বলেন, নিজের অফিসে ঢুকতে পারব কি না, এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। আমি দুঃখ-কষ্টে পড়ে গেছি। ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি। এ ভবনটা আমরা করেছি, এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ চার দিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ড. ইউনূস। এ সময় অন্যদের মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১ নম্বরে চিড়িয়াখানা সড়কে গ্রামীণ টেলিকম ভবন। এই ভবনে ১৬টি কোম্পানি রয়েছে। যার প্রতিটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ভবনে অবস্থিত আটটি অফিস দখল করে নেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ওই দিন থেকে তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছে। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে, তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন–আদালত আছে কিসের জন্য। তারা আদালতে যেতে চায় না। আমরা জীবনে বহু দুর্যোগ দেখেছি। এমন দুর্যোগ আর কখনো দেখিনি।
ড. ইউনূস বলেন, এভাবে দেশ চলছে কীভাবে। আমাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় হয়নি, যা হয়েছে আইন মেনে হয়েছে।