লাল-সবুজ-বেগুনি আভায় রঙিন হয়ে উঠেছে বাড়ির আঙিনা। পুঁইশাকের বাহারি রঙ্গে আন্দোলিত হচ্ছে কৃষকের মন। মাচায় ঝুলছে লাউ, বরবটি আর শিম। ভিডিও লিংক: https://youtu.be/4ohWKcLHgiI?si=j0-cIoCSPIo7l9QL
সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে একটি গ্রামের চিত্র এটি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পরিবারের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে গড়ে তোলা হয়েছে এ বাগান।
কৃষক মো. ছায়েদ মিয়া একাজে সফলতা অনুভব করছেন। অন্যরাও নিজ নিজ পতিত জমি আবাদ করে ফল ও সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন।
কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে এ ধরণের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পে’র আওতায় এভাবে তৈরি করা হয়েছে বাগান। বাজার থেকে এখন তাদের কোন সবজির কিনতে হয়না।
বাড়ির আঙিনায় নারীরা গড়ে তুলেছেন পারিবারিক ‘পুষ্টি বাগান’। রয়েছে ছোট ছোট মরিচের গাছ। শশা আর বাহারি টমেটো। পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল বিকাল যত্ন নিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন ঘরের আঙিনা। শিতকালীন শবজি চতুর্দিকে রঙ ধরেছে। পাতাকপি আর ফুল কপি দেখে যে কারো মন ভরে যায়। ঘ্রাণ ছড়ায় ধনিয়া পাতা। বিদেশী স্টোবেরি বাগানও করেছেন কয়েকজন।
বাহুবল উপজেলায় রয়েছে এরকম বাগান শতাধিক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রায় ১৪০টি বাগান তৈরির কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকে রয়েছে ২০টি বাগান। প্রথম দিকে যারা প্রয়াস চালিয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেক কৃষক-কৃষাণী পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বিক্রি করছেন। এতে তারা বেশ আনন্দিত। সেখানে এক ধরণের প্রতিয়োগিতা শুরু হয়েছে। আন্দোলিত হচ্ছেন অন্যেরাও। – সাঈদ চৌধুরী