কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করে আগ্রহ জানালেন সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তার

আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

লন্ডন সফরের প্রথম দিনেই কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে। এসময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্যক্ত করেছেন
কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে। বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য, তাহলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, ড. ইউনূসকে বললেন বোচওয়ে বলেন। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরের জন্য গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা কমনওয়েলথের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংগ্রামে সহায়তা করাও সংগঠনের অগ্রাধিকার ভিত্তিক লক্ষ্য।

মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে বলেন, কমনওয়েলথ ২.৭ বিলিয়ন জনগণের প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তাদের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগামী কয়েক বছরে তা কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কমনওয়েলথের অনেক সদস্য রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর মধ্যে অনেক দেশ আকারে অত্যন্ত ছোট বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে ক্রীড়া খাতে সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান। ‘ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের স্মরণীয় হয়ে ওঠার জন্য ক্রীড়া হতে পারে একটি ভালো মাধ্যম,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

চলতি মাসে তারা ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রাম আয়োজন করতে যাচ্ছেন বলে জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব। কমনওয়েলথের ১.৫ বিলিয়ন জনগণ তরুণ এবং তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য তারা কাজ করছেন এবং কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনাও করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসব ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *