ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেটের বর্ণাঢ্য ইফতার মাহফিল

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সিলেট
শেয়ার করুন

সিলেটে সুধীজনের সম্মানে ইবনে সিনা হাসপাতালের বর্ণাঢ্য ইফতার মাহফিল সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়। মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, লেখক-সাংবাদিক, ইসলামী চিন্তাবিদ-সহ সমাজের নানা পেশার মানুষের অংশ গ্রহনে মুখর ছিল ইফতার অনুষ্ঠান। ছিলেন সিলেটের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, জেলা প্রশাসন সিলেট, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিলেট জেলা পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক মন্ডলী, সিনিয়র আইনজীবী, সিনিয়র সাংবাদিক এবং সিলেট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।

হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে নগরীর একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে অুনুষ্ঠিত সমাবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এম সারওয়ার ইসলাম চৌধুরী মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। ইফতার মাহফিলে রমযানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনায় বরেণ্য স্কলারদের বিশ্লেষণ ছিল মনোমুগ্ধকর।

ইবনে সিনা হাসপাতালের এজিএম ওবায়দুল হক, এসিসট্যান্ট ম্যানেজার (এডমিন) আজহার উদ্দিন খান ও মাজহারুল ইসলাম মুমিনের যৌথ পরিচালনায় মাহফিলে আলোচনা পেশ করেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা শায়েখ আব্দুস সালাম আল-মাদানী, নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের খতিব শায়েখ নুরুজ্জামান আল-মাদানী ও মাওলানা মামুনুর রশিদ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুর রহমান আলোকিত সিলেটের বরেণ্য ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনারা সিলেটবাসীর প্রিয় প্রতিষ্ঠান ইবনেসিনা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের দাওয়াতে শত ব্যস্ততার মধ্যে ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহনের জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ইবনেসিনা হাসপাতালের সেবা কর্মের সামগ্রিক অগ্রগতিতে আপনাদের আন্তরিক পরামর্শ ও সহায়তা আমাদের কাম্য।

মাওলানা হাবিবুর রহমান মাহে রমজানের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলেন, এই পবিত্র মাস আমাদেরকে নৈতিকতা সম্পন্ন তাকওয়াবান মানুষ উপহার দেয়। দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে তাকওয়াবান মানুষ আমাদের প্রয়োজন।

শায়েখ আব্দুস সালাম আল-মাদানী বলেন, রমযান হলো কুরআন নাযিলের মাস, কুরআন বিজয়ের মাস, বদরের মাস, কদরের মাস। কিন্তু কিছু মানুষ কুরআন তেলাওয়াত করে আবার ব্যবিচার করে, নামাজ পড়ে আবার ঘুষ খায়, রোজা রাখে আবার সুদ খায়। আমরা যতদিন পর্যন্ত হারাম পরিত্যাগ করতে না পেরেছি ততদিন পর্যন্ত রোজা শুধু আমাদের জন্য উপবাসই হবে। দুনিয়া আখিরাতের নাযাতের কোন কারণ হবে না। তিনি বলেন, ইবাদত কবুলের প্রথম শর্ত হলো হালাল রুজি। মহান মাবুদ যেন আমাদের হালাল উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেন।

শায়েখ নুরুজ্জামান আল-মাদানী কুরআন নাযিলের বর্ণনা দিয়ে বলেন, এই মাসে মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নাযিল হয়েছে, তাই আমাদের জীবনকে কুরআনের পথে পরিচালিত করতে হলে বেশি বেশি করে কুরআন অধ্যায়ন করতে হবে।

মাওলানা মামুনুর রশিদ বলেন, আল্লাহ তায়ালা নামাজ যেভাবে ফরজ করেছেন, যাকাতকে সেভাবে ফরজ করেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির স্বার্থে যাকাত ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সমাজ-নেতাদের প্রতি আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *